সমাধান হয়নি বশেমুরবিপ্রবির বিভাগ একীভূতকরণের দাবির

সমাধান হয়নি বশেমুরবিপ্রবির বিভাগ একীভূতকরণের দাবির

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের ১ বছর পার হলেও এ সমস্যা নিরসনে আসেনি যথাযথ ফলাফল। 
গত বছরের ২০ জানুয়ারি, বিভাগের একীভূতকরণের দাবিতে আন্দোলনরত ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বশেমুরবিপ্রবি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই, ইইই, ইসিই বিভাগের শিক্ষকদের সমন্বয়ে১৬ সদস্যদের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ২৫/০১/২০২০ ইং তারিখে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে একাগ্রতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বাস প্রদান করেন। 


পরবর্তীতে, ১৯ ফেব্রুয়ারি,২০২০ইং, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য ইউজিসি কর্তৃক সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. কামাল হোসেন (সদস্য সচিব), বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, বশেমুরবিপ্রবির সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ এবং বশেমুরবিপ্রবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইটিই বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগ খোলা, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাবলি পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিতকরণ এবং মানসম্মত শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণের সুপারিশসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিলকরণের ক্ষেত্রে কমিটির অন্যতম ট্রামস অ্যান্ড রেফারেন্স এর মধ্যে ইইই বিভাগের সাথে ইটিই বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করবার কথা উল্লেখ থাকলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনরূপ ফলাফল পাইনি। “


তিনি আরও বলেন, “বর্তমান উপাচার্য মহাদয় এই যৌক্তিক দাবির বিষয়ে অবগত হয়েছেন এবং আমাদের আশ্বাস প্রদান করেছেন। একইসাথে তিনি আমাদের একাডেমি কাউন্সিল এবং রিজেন্ট বোর্ড হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহমুদ জানান, ” ইতিপূর্বে আমি ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন এবং ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগের সাথে একীভূতকরণের শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে অবগত হয়েছি। পূর্বের কোন কিছুর দায় আমার উপর বর্তায় না।


তিনি আরও বলেন, “এটি খুব সহজ প্রক্রিয়া নয়,এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। এগুলো আমার একক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে একাডেমিক কাউন্সিলে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করব। এরপর রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করে ইউজিসির নিকট শিক্ষার্থীদের সমস্যা তুলে ধরব।
এর আগে গত, ১৭ অক্টোবর,২০১৯ইং তারিখ থেকে বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে আন্দোলনরত ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ একাধিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন। অপরদিকে এই দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে  মানববন্ধন করেছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী।

আপনি আরও পড়তে পারেন